ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সংসদে বিদায়ের সুর, এমপিদের মুখে সফলতার জয়গান 

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
সংসদে বিদায়ের সুর, এমপিদের মুখে সফলতার জয়গান  অধিবেশনের ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সোমবার (২৯ অক্টোবর) রাতেই শেষ হচ্ছে বর্তমান দশম জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশন। কোনো কোনো সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য এটি হতে পারে জীবনের শেষ অধিবেশন।

তাই সোমবার (২৯ অক্টোবর) দশম জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনের শুরু থেকেই এমপিদের কথায় রয়েছে বিদায়ী বক্তৃতার সুর। এর মধ্যে অনেকে আইন প্রণয়ন কার্যাবলীতে সংশোধনী প্রস্তাবের সুযোগ পেয়ে কথা বলছেন।

তবে প্রায় সবার মুখেই ছিলো সরকারের সাফ্যল্যের কথা।  

মন্ত্রীরাও সুযোগ নিয়ে বিদায়ী অধিবেশনে কথা বলছেন। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার মধ্য দিয়ে অধিবেশন শেষ হবে। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সমাপনী বক্তব্য দেবেন।  

কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস বিল-২০১৮ পাসের আগে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, হুইপ ও সংসদ সদস্য- সবাই মিলে আমরা একটি কার্যকর পার্লামেন্ট পরিণত করেছিলাম। আমাদের মধ্যে হৃদ্যতা ও আন্তরিকতা ছিল।  

‘গঠনমূলক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি। আমরা আজকে সবাই চলে যাবো যার যার জায়গায়। নির্বাচন হবে, যথা সময়েই নির্বাচন হবে। ’

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারে দায়িত্ব পালন করবে। সংসদীয় গণতান্ত্রিক বিশ্বে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেই রীতি অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনকালে সরকার দায়িত্ব পালন করবে। আমরা আবার আসিব ফিরে এই প্রত্যাশা নিয়েই আমরা ফিরে যাব।

সভাপতির আসনে বসে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আমি ১৯৮৬ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে প্রায় সব সংসদ দেখেছি। সব সংসদেই আমরা প্রাণবন্ত আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি, শুধু ২০০১ সালের সংসদে বিরোধী দলীয় সদস্যদের কোনো কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাছাড়া প্রত্যেক সংসদে প্রাণবন্ত আলোচনার সুযোগ পেয়েছি।

তিনি বলেন, এবারের সংসদ আমার জানামতে ১৯৮৬ সালের পরে এতো ভালো সংসদ আর হয়নি। সরকারি দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে যে সম্প্রীতি ছিল। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সংসদ আমরা যেভাবে পরিচালনা করেছি। বিরোধী দলীয় নেত্রী, মন্ত্রী, স্পিকারসহ সবাই এই সংসদ চালানোর চেষ্টা করেছি।  

‘চিফ হুইপ এবং হুইপরাও চেষ্টা করেছেন এই সংসদকে প্রাণবন্ত করতে। আমরা অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলতে সংসদে ২০০টির মতো আইন পাস হয়েছে, সুতরাং অবশ্যই এটি একটি প্রাণবন্ত এবং ফ্রটফুল সংসদ। ’

** সংসদ ভবনের মূল নকশা দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এসকে/এসএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।