নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাতে বাংলানিউজকে এ বিষয়ে বলেন, ‘ফোনে জানতে পেরেছি রাষ্ট্রপতি আরপিও সংশোধনের অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তবে এখনও জারি হয়নি।
স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আইন থাকলেও সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোনো আইন ছিল না। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আইনি ভিত্তি পেলো।
গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করে ৩ সেপ্টেম্বর তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এরপর ২৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনের সংশোধনীর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। সংসদের মেয়াদ অল্প থাকায় এটি অধ্যাদেশ আকারেই এলো।
আইন না থাকলেও ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি বেশ কয়েক মাস ধরেই এগিয়ে নিচ্ছিলো নির্বাচন কমিশন। যার ধারাবাহিকতায় সংসদ নির্বাচনের আগেই আসছে ৮০ হাজার ইভিএম। এই সংখ্যক মেশিন দিয়ে ১০ শতাংশ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা যাবে।
তবে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা যদি তিনশ’ আসনেও ইভিএম ব্যবহার করতে চাই, তবে আমাদের সক্ষমতার প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে লোকবল, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা গণমাধ্যমকে বলেছেন, সবার মতামতের ভিত্তিতেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
অধ্যাদেশে ইভিএম ব্যবহার ছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ সৃষ্টি ঋণখেলাপিদের মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ পর্যন্ত পুনঃতফসিলের সুযোগও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮/আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা
ইইউডি/জেডএস