ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইছামতি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৮
ইছামতি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ‘ইছামতি নদী রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: দখল-দূষণে বিপর্যস্ত পাবনা শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ও ইছামতি নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (০৫ নভেম্বর) রাজশাহী মহানগরীর হোটেল ওয়ারিসনে ‘ইছামতি নদী রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান বক্তারা। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

 

নদী কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ইছামতিতে যে যতো বড় ইমারতই তৈরি করুক না কেন তা উচ্ছেদ করতে হবে। না হলে মৃত প্রায় নদীটিকে বাঁচানো যাবে না। আর ইছামতি নদী বাঁচানো না গেলে এ অঞ্চলের জীববৈচিত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে বক্তারা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।  

দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাতের সভাপতিত্বে সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বেলা রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের ম্যানেজার তন্ময় কুমার সান্যাল। সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইছামতি নদী রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক এসএম মাহবুব আলম। বিশেষে অতিথির বক্তব্য দেন- পাবনা পওর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস.এম. শহিদুল ইসলাম, রাজশাহী পওর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহা. আমিরুল হক ভূঞা। সভা সঞ্চালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. রেদওয়ানুর রহমান।  

সভায় জানানো হয়, পাবনা জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য সৃষ্টির অন্যতম ভূমিকা রেখেছে ইছামতি নদী এ কথা আমরা ভাবি না। মধ্য শহরে আঁকাবাঁকা এমন সুন্দর একটি নদী দেশের কম সংখ্যক শহরেই আছে। তবে অবজ্ঞা আর অবহেলায় নদী দূষণ ও দখলের কারণে ইছামতি মরতে বসেছে।

সভায় ইছামতি নদীকে বাঁচাতে নয় দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে -সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ করতে হবে, দখল-দূষণসহ নদীবিরোধী সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, নদীর প্রবাহ বিঘ্নকারী সব অবকাঠামো অপসারণ করতে হবে এবং নদীর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, ছোট ও নিচু ব্রিজ/কালভার্ট অপসারণ করে বড় ও উঁচু ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে, শোধন ছাড়া কোনো ধরণের কঠিন ও তরল বর্জ্য নদীতে ফেলা যাবে না, নদীর দুইধারে হাঁটার জন্য রাস্তার ব্যবস্থা করে নগর পরিকল্পনা করতে হবে, নদীর পাড়ে ওষুধিবৃক্ষ রোপণসহ নদীকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে, লোকায়ত জ্ঞানকে গুরুত্ব দিয়ে এলাকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিবেচনায় রেখে নদী সংরক্ষণে প্রকল্প নিতে হবে ও ইছামতি রক্ষায় প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।