দেশ ও জনগণকে নিয়ে তরুণদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা, তারা প্রধানমন্ত্রী হলে কি করবে সেসব কথাও শোনেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এ লেট’স টক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় লেট’ট টকে বহুবার তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বললেও এই প্রথম তরুণদের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের ইতিহাসেও প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হলেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা, তরুণ পেশাজীবী, অ্যাথলেটস, খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ দেড়শ’র মতো তরুণ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন, তাদের কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী।
তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শৈশব, কৈশরের দুরন্তপনা-মজার ঘটনা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে আন্দোলনে যোগ দেওয়া, মায়ের কাছে আবদার মেটানোর কৌশল, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অবরুদ্ধ জীবন, ৭৫ পরবর্তী নির্বাসিত জীবন, এই বয়সে এসে রাষ্ট্র পরিচালনার পাশাপাশি নাতি-নাতনিদের সঙ্গে শিশুসুলভ পারিবারিক জীবন, রান্না ঘরের কথা, রাজনৈতিক সংগ্রাম, সফলতা-ব্যর্থতার কথা, প্রতিবন্ধকতার কথা, এগিয়ে যাওয়ার পেছনের শক্তির কথা, ধার পর বাধা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাওয়ার গল্প, কারাজীবন, দেশকে এগিয়ে নিতে সংগ্রাম ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন-পরিকল্পনাসহ নানা অজানা কথা উঠে আসে।
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে তরুণদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা, চাওয়া-পাওয়ার কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী।
ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায়? এবং তারা প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের কোন কোন বিষয়ে প্রথম মনোযোগ দিতো? এ রকম বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে তরুণদের মনের কথা, স্বপ্নের কথা জেনে নেন শেখ হাসিনা।
প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন, উঠে আসা অন্তরালের নানা ঘটনা নিয়ে অপেক্ষা করছে 'লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা'। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় তা প্রচার হবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
দেশের তরুণদের সঙ্গে নীতিনির্ধারকদের খোলামেলা আলোচনার সুযোগ তৈরি করতে এবং তরুণদের কথা সর্বোচ্চ মহলে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে সিআরআই। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই লেট’স টক।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
এমইউএম/জেডএস