শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) মধ্যরাত দেড়টায় কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কাচরিপাড়ায় নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বক্ষব্যাধিসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তারামন বিবি।
স্বজনরা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তারামন বিবির শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়। তখন তাকে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বাড়িতেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তারামন বিবি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন বাংলানিউজকে জানান, এ বীরকন্যা নামাজে জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরের হয়ে তারামন বিবি মুক্তিবাহিনীর রান্নাবান্না, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকিস্তানিদের খবরাখবর সংগ্রহ এবং সম্মুখযুদ্ধে লড়াই করে দেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮/আপডেট ০৯২৩ ঘণ্টা
এসআই/এইচএ/