ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাড়ির আঙ্গিনায় চিরনিদ্রায় শায়িত তারামন বিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৮
বাড়ির আঙ্গিনায় চিরনিদ্রায় শায়িত তারামন বিবি প্রয়াত তারামন বিবির মরদেহে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: একাত্তরের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত তারামন বিবিকে কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে নিজ বাড়ির উঠানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। 

শনিবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে নিজ বাড়ি কাচারীপাড়া গ্রামের আঙ্গিনায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

এর আগে মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবির মরদেহে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।  

এ সময় কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমিন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম, রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার, চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শওকত আলী সরকার, রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম, রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান, রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায়, সাবেক কুড়িগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিরাজুল ইসলাম টুকু, রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুল হাই সরকার, রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুল কাদের সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

এর আগে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে কাচারীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তারামন বিবি। তার বয়স ছিল ৬২ বছর।  

পড়ুন>> বীরপ্রতীক তারামন বিবি আর নেই

মৃত্যুকালে এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন তিনি।  

১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে জন্ম নেন তারামন বিবি। তার বাবার নাম আব্দুস সোহবান ও মায়ের নাম কুলসুম বিবি। আসল নাম মোছাম্মৎ তারামন বেগম হলেও তারামন বিবি নামেই অধিক পরিচিত তিনি।  

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে ও যুদ্ধের নানা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন তারামন বিবি। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার সংগ্রহ, অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকবাহিনীর খবর সংগ্রহ করতেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে ‘বীরপ্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করে সরকার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
এফইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।