রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সড়কের লবণচরা থানার সামনে খাজুর বাগান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পাঁচজন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের সবুজবাগের অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে ও গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হাসান বাবু, একই এলাকার মৃত আলাউদ্দিন শিকদারের ছেলে ও গোপালগঞ্জ সদর যুবলীগের সহ-সভাপতি সাদিকুল আলম, থানাপাড়ার গাজী মিজানুর রহমানের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক ওয়ালিদ মাহমুদ উৎসব, গেটপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেন মোল্লার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সাজু আহমেদ এবং চাদমারী এলাকার ওয়াহিদ গাজীর ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সদস্য অনিমুল ইসলাম গাজী।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ওই প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ ৩৫-০০২৫) মহানগরের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে যাচ্ছিল, রূপসা সেতু থেকে আসছিল সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো ট ১৮-২৫৮৪)। দু’টি গাড়ি যখন খাজুর বাগান অতিক্রম করছিল, তখন মানসিক ভারসাম্যহীন এক ভবঘুরে ট্রাকের সামনে এসে পড়লে তাকে বাঁচাতে গিয়ে সেটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা পাঁচ ছাত্র-যুবলীগ নেতাই প্রাণ হারান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালকসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে রাতেই পাঁচ মরদেহ গোপালগঞ্জে পাঠানো হয়। বাংলানিউজের গোপালগঞ্জের ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানান, তাদের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরা পাঁচজনই বন্ধুর মতো চলাফেরা করতেন। তারা মাদকবিরোধী সংগঠনেও সক্রিয় ছিলেন। রোববার খুলনায় পাঁচজনে বেড়াতেই গিয়েছিলেন।
বাদজোহর স্টেডিয়ামে নামাজে জানাজা শেষে তাদের দাফনের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯/আপডেট ০৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১
এমআরএম/এইচএ/