ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৮৪তম জন্মদিনে নানা আয়োজন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৮৪তম জন্মদিনে নানা আয়োজন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেcখের ভাস্কর্য। ছবি: বাংলানিউজ

নড়াইল: মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়।

 

মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৮৪ তম জন্মদিন। জেলা প্রশাসন ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাস্টের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়েছে।  

২৬ ফেব্রুরয়ারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। এর মধ্যে ছিল, কোরআন খানি, দোয়া অনুষ্ঠান, গার্ড অব অনার, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র‌্যালি ও আলোচনা সভা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক আনজু মান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজেস্ব) কাজী মাহবুবুর রশীদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভূইয়া প্রমুখ।

বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা। মতান্তরে জেন্নাতা খানম। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান। লেখাপড়া করেছেন সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত। তবে, মতান্তর রয়েছে। ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর, বর্তমানে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবি) যোগদান করেন তিনি। দিনাজপুর সীমান্তে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই বদলি হন যশোর সেক্টরে। পরবর্তীকালে তিনি ল্যান্স নায়েক পদোন্নতি পান।  

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মুতি জাদুঘর।  ছবি: বাংলানিউজমুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে অংশগ্রহণ করে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন নড়াইলের এ সাহসী সন্তান (নূর মোহাম্মদ)।
 
এ সময় এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল (অব) আবু ওসমান চৌধুরী এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর এস এ মঞ্জুর। এদের নেতৃত্বে প্রাণ-পণ লড়েছেন নূর মোহাম্মদ।  

৫ সেপ্টেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলে সহযোদ্ধাকে কাঁধে নিয়েই এলএমজি হাতে শত্রুপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। গুলি ছুড়েছেন। হঠাৎ করে পাকবাহিনীর মর্টারের আঘাতে নূর মোহাম্মদের হাঁটু ভেঙে যায়। তবুও গুলি চালান তিনি। মৃত্যু অনিবার্য জেনেও শক্রমুক্ত করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যান এই সাহসী সন্তান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।