মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক রিয়াদুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলায় গ্রেফতারকৃত অপর তিন আসামি লিসান খান, আবু নওশর দুর্জয় ও ইমরান খানের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জগৎজ্যোতি বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে চার আসামির জবানবন্দির বরাত দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, কথা কাটাকাটির জের ধরেই স্কুলছাত্র শাহেদকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে তারা। তারা আগে থেকেই হত্যার পরিকল্পনা ও জড়িতদের নাম আদালতে স্বীকার করেছে।
‘প্রথমে রাফাত ছুরিকাঘাত করে। এসময় অন্যরা তাকে ধরে রাখে। পর্যায়ক্রমে অন্যরাও ছুরিকাঘাত করে। জবানবন্দিতে তারা পলাতক মামুন, লিমন, ওসামা ও রিফাতের নাম প্রকাশ করে। এদের মধ্যে হত্যার পর আহতাবস্থায় রিফাতকে আটক করে পুলিশ। রিফাতকে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ’
রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার দিকে সিলেট শহরের হাউজিং অ্যাস্টেট আম্বরখানা গালর্স স্কুলের সামনে স্কুলছাত্র শাহেদকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে তার সহপাঠীরা। নিহত শাহেদ শহরের খাসদবির রংধনু আবাসিক এলাকার মৃত আবদুল খালিকের ছেলে ও স্থানীয় ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর গত দু’দিনে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এনইউ/আরবি/