অভিযানে ১৯০ মণ মহিষের মাংস, ৮০০ মণ ভেড়ার মাংস, ৫ হাজার কেজি চিকেন নাগেট, ১০০ মণ ভেড়ার পাঁজরের হাড়, ও ২০০ মণ গরুর মাংস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ সামুদ্রিক কাকড়া, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক চিংড়ি, বিদেশি চকলেট ও নুডুলস।
এ অপরাধে 'সেফ অ্যান্ড ফ্রেস ফুড' নামে হিমাগারকে ২০ লাখ টাকা, 'সেভি ফুডকে' ৮ লাখ ও 'ফুড চেইন এশিয়া লিমিটেড’কে ৩০ লাখ টাকাসহ মোট ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব-২ এর এ অভিযান চলে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত।
অভিযানে ২০১০ সালে মেয়াদ শেষ হওয়া মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ জব্দ করা হয়েছে যার মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। কিছু পণ্যে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ পরিবর্তন করে হিমাগারে মজুদ রাখতেও দেখা গেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, হিমাগারে আমদানি করা বিপুল পরিমান পঁচা মাছ-মাংস মজুদ রাখা হয়েছিল। আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্যও মজুদ ছিল সেখানে, যেগুলো আবার মেয়াদোত্তীর্ণ। রমজানকে সামনে রেখে বিক্রির টার্গেটে এসব পণ্য মজুদ করা হচ্ছিল। কারণ রমজানে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সুপারশপগুলোতে মাছ-মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়।
** এবার ১৫০০ মণ মেয়াদোত্তীর্ণ মাছ-মাংসের সন্ধান
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
পিএম/আরবি/