মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুশিবুর রহমান ওরফে ফারুক (৩৫) ও রুহুল আমিন ওরফে সাইফুল্লাহ (২৬) নামে এ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক জব্দ করা হয়।
জেলা পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা দু’জনই মুর্শিদাবাদে থাকতেন এবং জেএমবিতে সক্রিয় ছিলেন। তাদের কাছ থেকে অ্যালুমিনিয়াম ডাস্ট, ক্যালথার এবং সালফিউরিক এসিডের মতো বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক জব্দ করা হয়েছে।
এই দু’জন ২০১৪ সালে বর্ধমান জেলায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার কায়সার এবং সাজ্জাদের সহযোগী।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে একটি বোমা বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়।
মুর্শিদাবাদের ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, মুশিবুর ও রুহুলকে এসিড বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল পুলিশকে আক্রমণ করে কাউসারকে মুক্ত করে নেওয়া।
মুর্শিদাবাদে জঙ্গিবাদ দমনের অভিযানে এ দু’জনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে চলতি মাসে সবমিলিয়ে মোট ৬ জনকে পাকড়াও করা হলো।
এর আগে জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাবুঘাট এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২২) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার তিনদিন পর হাওড়া জেলার সাঁতরাগাছি রেলস্টেশন থেকে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আসিফ ইকবাল ওরফে নাদিমকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এসএ/এইচএ/