বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য দিদারুল আলম এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফজারীর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মাদক নির্মূলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত যারা আত্মসমর্পণ করছে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ যারা এই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে তারা যাতে অন্য কিছু করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেবো। আমি অভিভাবকদেরকেও বলবো সন্তানের দিকে লক্ষ্য রাখতে, তারা কি করে, কোথায় যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় লোকজন যাতে মাদকাসক্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্য সব জনপ্রতিনিধিদেরও একইভাবে নজর রাখতে হবে এবং ভূমিকা রাখতে হবে মানুষ যাতে মাদক থেকে দূরে থাকে।
জঙ্গি দমন অভিযানের মতো আমরা মাদক নির্মূলের উদ্যোগ নিয়েছি। সমাজকে মাদকমুক্ত করতে সীমান্তবর্তি জেলাগুলোতে চোরাচালান এবং মাদক পাচার যাতে বন্ধ হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আইন করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জেলায় জেলায় মাদক নিরাময় কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এসকে/জেডএস