ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

খাদ্য বিভাগে দুদকের অভিযানে মিললো দুর্নীতির প্রমাণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
খাদ্য বিভাগে দুদকের অভিযানে মিললো দুর্নীতির প্রমাণ

ঢাকা: রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুর্নীতির চাক্ষুষ প্রমাণ ধরলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় অনিয়মের দালিলিক প্রমাণও জব্দ করা হয়।

দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ঠিকাদার নিয়োগে ঘুষ লেনদেন ও দুর্নীতি হচ্ছে, একজন ঠিকাদারের কাছ থেকে কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-   ১০৬) এমন অভিযোগ এলে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।  
 
দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে রাজশাহী কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ অভিযান চালায়।


 
অভিযানে দেখা যায়, ঠিকাদার নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন দাখিল করতে গেলে প্রত্যেককে পরিবহন ঠিকাদার সমিতির অফিস থেকে স্লিপ সংগ্রহ করে জমা করতে বলা হয়। নতুবা তাদের কাগজপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে না। পরিবহন ঠিকাদার সমিতি প্রত্যেক ঠিকাদারের কাছ থেকে এজন্য বাধ্যতামূলকভাবে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের নাম ও সিরিয়াল নম্বর লিখে সিল দিয়ে দিচ্ছেন।
 
ওই স্লিপ পাওয়ার পর ঠিকাদাররা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে জমা দিলে তবেই তাদেরকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। অভিযানে এমন ১৭ জন ঠিকাদারের নামসহ তিনটি হলুদ স্লিপ উদ্ধার করা হয়।
 
ফর্ম জমা দিতে আসা একাধিক ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে প্রত্যেকের কাছে ৩০ হাজার টাকা করে নেওয়ার সত্যতা মেলে।
 
ঘটনার  সময় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বগুড়ায় একটি প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য ছুটিতে আছেন বলে জানানো হয়।
 
এছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনাস্থল থেকে উল্লিখিত তিনটি স্লিপসহ চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারদের তালিকা সংগ্রহ করে দুদক টিম।
 
এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, শিগগিরই অনুসন্ধান করে এ দুর্নীতির উৎস বের করা হবে এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
আরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।