কাগজপত্র অনুযায়ী, ১৮৯৬ সালে বৃহত্তর সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার হরিপুর গ্রামে গোস্বামী পরিবার ও প্রখ্যাত ঠাকুরবানী বংশে জন্ম শিবানন্দের। ভারতে বসবাস হলেও জন্মভূমি বাংলাদেশের টানে প্রায়ই তিনি বাংলাদেশে আসেন।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেট নগরীর শ্রীশ্রীপ্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দর ধাম মন্দিরে শ্রীচৈতন্য গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে স্বামী শিবানন্দের শ্রীহট্ট পরিক্রমা উৎসবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়। সেই সভায়ই শিবানন্দের বয়সের বিষয়টি তুলে ধরে স্বীকৃতি দাবি করা হয়।
সেখানে স্বামী শিবানন্দ জানান, তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবি ডিগ্রি অর্জন শেষে লন্ডন থেকে গ্র্যাজুয়েশন এবং পিএইচডি ডিগ্রি (সাইকিয়াট্রি) অর্জন করেন।
নীরোগ ও দীর্ঘ আয়ুর রহস্য হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন তার নিয়মিত যোগব্যায়াম ও খাদ্যভ্যাসের কথা। রুটি আর সেদ্ধ সবজি তার প্রধান খাবার। নিয়মিত ডায়েটের পাশাপাশি তেল, চর্বি এবং মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার, ফল-দুধ বর্জন করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, তার মধ্যে কোনো রোগ নেই, কামনা-বাসনা নেই, দুঃখ-চিন্তা-সমস্যা নেই, অর্থ কিংবা দান গ্রহণ করেন না। ভোর ৩টায় ঘুম থেকে উঠে যোগব্যায়াম করে আধ্যাত্মিক সাধনা বাড়াতে মন্ত্রজপ করেন।
মানুষের জীবনে যে কোনো সফলতার চাবি হিসেবে বলেন, ধর্ম মানার কথা। তিনি বলেন, বিশ্বের শান্তি অর্জনে ধর্ম-কর্ম ঠিকভাবে পালন করতে হবে। তাহলে নিজের মধ্যে সৎভাবনা, সৎকর্ম থেকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। মুসলমানদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতো সনাতন হিন্দুদের প্রতিদিন তিনবার জপ করার তাগিদ দেন তিনি।
প্রচারবিমুখ এই মানুষের ঘনিষ্টজনেরা চান বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় মতবিনিময় সভায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এনইউ/এইচএ/