তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাই দেশে থাকা তাদের পরিবার-পরিজনদের নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শাহরিয়ার আলম এসব কথা বলেন।
অভিবাসী ও অভিবাসন নিয়ে কাজ করা সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিচার্স ইউনিট-রামরুর উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির তিনটি ভিত্তি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে বাণিজ্য, কৃষি ও অভিবাসন। আমাদের দারিদ্র্যের হার ৪৪ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশ এবং হতদরিদ্র্যের হার ১১ শতাংশে নেমে আসার পেছনে ভূমিকা রয়েছে। এজন্য আমাদের অভিবাসী ও দেশে থাকা তাদের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় ‘দ্য স্যোশাল কস্ট অব মাইগ্রেশন অন লিফট বিহাইন্ড মাইগ্র্যান্ট স্পাউস অ্যান্ড চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক’ একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি) মনোনীত রামরুর গবেষক তাসনিম সিদ্দিকী ও আনাস আনসারের করা ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বিদেশ বি-ভূঁইয়ে থাকা অভিবাসী এবং দেশে থাকা তাদের পরিবার-পরিজনদের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অভিবাসী অধ্যুষিত দেশের ২০টি জেলায় এক হাজার ৭৪১ পরিবারের ওপর এই গবেষণা জরিপ করা হয়।
এর মধ্যে অনেক পরিবারের সদস্য রয়েছেন, যারা স্বামী-সন্তান কিংবা স্ত্রী-সন্তান রেখে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
এক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। যেমন স্বামী অভিবাসী হলে দেশে স্ত্রীরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। অনেক ক্ষেত্রে সংসারে অশান্তিও দেখা দেয়। আর শিশুরা তাদের পিতা-মাতার অভাব বোধ করে; যা পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশেরও প্রতিবন্ধকতা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান এবং সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম, রামরুর পরিচালক ড. সি আর আবরার, ইউনিসেফ এ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জামিলা আক্তার, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার আসিফ মুনীর প্রমুখ এই আলোচনায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
ডিএসএস/এমএ