জবাবে এ প্রক্রিয়াটি (রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা) ন্যাশনাল টাস্কফোর্স সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিনিয়র পরিচালক হাইমে সাভেদ্রা, ব্যবস্থাপক ক্রিস্টিয়ান এদো, সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সৌরভ দেব ভট্ট ও রাশেদ আল জায়েদ, সিনিয়র পরিচালনা কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান ও বিশ্লেষক এম মার্সেলা।
প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিশুশিক্ষার ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক সচেতন উল্লেখ করে প্রতিনিধিরা বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ প্রদানে অবশ্যই স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা থাকতে হবে।
মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে জানিয়ে সচিব বলেন, সঠিক শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে এবং পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদানে প্রথাগত পদ্ধতির বাইরে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরো জানান, পিইডিপি-৪ এর আওতায় সক্ষমতা-ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক জ্ঞানকে আঞ্চলিকভাবে প্রয়োগে মন্ত্রণালয় ক্রমাগত গবেষণা করে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্লাসরুমে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ব্যবস্থাপকীয় ও একাডেমিক দিক থেকে অবশ্যই দ্বিমুখী যোগাযোগ বা টু-ওয়ে কমিউনিকেশন থাকতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক এক যুগেরও বেশি সময় ধরে উল্লেখ করে দু’পক্ষের আলোচকেরাই সম্পর্ককে সুসংহত করার দিকে জোর দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ