বুধবার সাধারণ পরিষদের সভাপতি আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে মিশ্র অভিবাসন, মানবপাচার, অনিয়মিত অভিবাসনসহ অভিবাসনের জটিল বিষয়গুলো নিরসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় অভিবাসন কাঠামোর গুরুত্ব তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব।
আইওএম এর মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিতোরিনো, জাতিসংঘে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ সভায় উপস্থিত সবাই পররাষ্ট্রসচিব উপস্থাপিত বাংলাদেশের অভিবাসন কাঠামোর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সভায় আইওএম-এর মহাপরিচালক নবগঠিত জাতিসংঘ অভিবাসন ফোরামের অর্জিত সাংগঠনিক অগ্রগতি সম্পর্কে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে অবহিত করেন।
‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক ইভেন্টটিতে প্যানেলিস্ট হিসেবে আরো অংশ নেন জাতিসংঘের লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশনের নির্বাহী সচিব অ্যালিসিয়া বার্সেনা, ইউরোপীয় কমিশনের সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক মহাপরিচালক হেনরি এটি গেইজার, আন্তর্জাতিক মালিক সংস্থার (আইওই) মহাসচিব রবার্তো সুয়ারেজ-সান্তোস।
অনুষ্ঠানের মডারেটরের দায়িত্বে ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত স্পেনের স্থায়ী প্রতিনিধি প্রতিনিধি আগুস্তিন সান্তোস।
সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে অবিভাসন সপ্তাহের উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টসমূহে যোগদানের পাশাপাশি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি (পিজিএ) মারিয়া ফার্নান্দে এস্পিনোসা’র সাথে একান্ত বৈঠক করেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক।
অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ এ বৈঠকে সাধারণ পরিষদের সভাপতি জলবায়ু পরিবর্তন, শান্তির সংস্কৃতি ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্রিয় নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ‘দুর্যোগে বাস্তুচ্যুতি সংক্রান্ত প্লাটফর্ম’ এর চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।
শুক্রবারও অভিবাসন সংক্রান্ত কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশ নিবেন পররাষ্ট্রসচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
টিআর/এমজেএফ