সোমবার (০৪ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর পৌঁছায়। বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বিকেল সোয়া ৩টার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কাদেরকে নিয়ে আইসিইউ ও সিসিইউ সুবিধা সম্বলিত একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর ৪টা ৭ মিনিটে তাকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড়াল দেয় আগে থেকে প্রস্তুত থাকা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সিঙ্গাপুর গিয়েছেন তার স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদের ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসের রিজভী।
সিঙ্গাপুর নেওয়ার সময় বিএসএমএমইউ’র পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন সাংবাদিকদের বলেন, সব ধরনের সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সে করে ওবায়দুল কাদেরকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সব ধরনের প্রটোকল সুবিধা তিনি পাচ্ছেন।
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলোজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও প্রিন্সিপাল ডক্টর ফিলিপ কোহ’র তত্ত্বাবধানে (আইসিইউ ৩০০৮) ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা চলবে বলে জানা গেছে।
এর আগে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু থেকে কলকাতা হয়ে দুপুর ১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী। দুপুর দেড়টার দিকে কালো রঙের একটি প্রাইভেটকারে করে বিএসএমএইউ-তে প্রবেশ করেন দেবী শেঠী। মূলত তার পরামর্শে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। হাসপাতালে তিনি কাদেরের শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখেন। এ সময় শেঠী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীকে বলেন, ইউ আর ভেরি লাকি।
রোববার (৩ মার্চ) ভোরে ফজরের নামাজের পর হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। প্রথমে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হলেও পরে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) ২ নম্বর বেডে রাখা হয় তাকে। এনজিওগ্রামে কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এমইউএম/এজেডএস/এমএএম/জেডএস