মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত যশোর-ঝিনাহদহ মহাসড়কের ধর্মতলা এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দুপুর ১টায়ও তিশার ময়নাতদন্ত শেষ না হওয়ায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। এসময় তিশার সহপাঠীদের বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, যশোর মেডিকেল কলেজে পরীক্ষায় দায়িত্বে থাকায় ফরেনসিক বিভাগের (ময়নাতদন্ত) কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সালেইন কবীর দেরিতে এসেছেন। তাই ময়নাতদন্তে দেরি হয়েছে। তবে, দুপুর ১টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, তিশা হত্যার ঘটনায় তার বাবা তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শেহাবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি। তবে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
রোববার (০৩ মার্চ) বিকেলে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তিশা। পরদিন সোমবার (০৪ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের খোলাডাঙ্গা গ্রাম থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিশা শহরের খোলাডাঙ্গা গ্রামের তরিকুল ইসলামের মেয়ে ও কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
ইউজি/ওএইচ/