ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

রাবিতে শেষ হলো ‘আনর্ত নাট্যমেলা’

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৯
রাবিতে শেষ হলো ‘আনর্ত নাট্যমেলা’ আনর্ত নাট্যমেলার সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: বাংলানিউজ

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই দিনব্যাপী ‘আনর্ত নাট্যমেলা’ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে কিচ্ছানাট্য ‘বেলাবতী কইন্যা’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী এ নাট্যমেলার পর্দা নামে। 

থিয়েটার বিষয়ক পত্রিকা ‘আনর্ত’র আয়োজনে সোমবার (৪ মার্চ) দেশের প্রথম এ নাট্যমেলার উদ্বোধন হয়।

এদিন সকাল ১০টায় ‘থিয়েটারের মানুষে-মানুষে’ অনুষ্ঠানে থিয়েটার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সৌহার্দ্য বিনিময়ের আয়োজন করা হয়।

 

দুপুর ১২টায় ‘মঞ্চ-অভিজ্ঞতা পর্দায়: সহায় নাকি অন্তরায়’ শিরোনামে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।  

পরে বিকেল ৪টায় ‘থিয়েটার করিয়া কী হইবে- যদি কিছু হয়, তবে চাই স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়’ শীর্ষক দ্বিতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।  
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক আরিফ হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে অংশ নেন বিশিষ্ট নাট্যজন মামুনুর রশীদ, সুজন কান্তি দে, রশীদ হারুন, সাজেদুল আউয়াল, বাবুল বিশ্বাস, অন্তত হীরা, মাসুম রেজা, প্রশান্ত হালদার, তাপু শহীদ, কাজী সাঈদ হোসেন দুলাল ও কামার উল্লাহ সরকার।  

সংলাপে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘শুরুতে কেবল একটি পর্দা ছিল, টিভির পর্দা। এখন মোবাইল ফোনের পর্দাসহ আরও অনেক ধরনের পর্দা এসেছে। একটা হচ্ছে ইমেজ মাধ্যম, আরেকটা জীবন্ত মাধ্যম। থিয়েটার কি বাস ভাড়া, রেলের ভাড়া কমাতে পারে? পারে না, কিন্তু এর মাধ্যমে আমরা দীর্ঘদিনের অন্যায়-অশান্তিগুলো প্রকাশ করতে পারি। তবে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী ‘ম্যাস মিডিয়াকেও’ (গণমাধ্যম) গ্রহণ করব। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি না, মিডিয়াতে অভিনয় করা অপরাধ। একজন থিয়েটার শিল্পীর তো অন্য কোনো পেশা নেই। তাহলে সে কি আকাশের নীল আর বাতাস খেয়ে বেঁচে থাকবে? ‘বিনোদনকর্মী’ শব্দটি পত্রিকার আবিষ্কার। ’

মাসুম রেজা বলেন, ‘থিয়েটার হলো ক্লাসিক্যাল মিউজিকের মতো। খুব কম মানুষ শোনে, শোনার জন্য ন্যূনতম জানা-শোনা থাকা লাগে। আমাদের থিয়েটারের সর্বনাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেম, শিক্ষা ব্যবস্থা। টিভি ডিরেক্টররা না। এখন থিয়েটারে শিক্ষার্থীদের পাওয়া যায় না। তারা ক্লাস টেস্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি ও আনর্ত’র সম্পাদক রহমান রাজু বলেন, ‘হয়ত আনর্ত থাকবে না, পৃথক মন্ত্রণালয় হবে না। তবে মনের কথাগুলো বলতে পারলে হালকা হওয়া যায়, ক্ষোভ কমে যায়। ’

সংলাপ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে মেহেদী তানজিরের নির্দেশনায় ‘বেহুলা, আমি এবং সতীত্ব’ নাটক মঞ্চায়িত হয়। পরিবেশন করে ঢাকার নাট্যদল ‘মহড়া’। পরে নওগাঁর কিচ্ছানাট্য শিল্পী সাইদুল ইসলামের পরিবেশনায় কিচ্ছানাট্য ‘বেলাবতী কইন্যা’ মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে নাট্যমেলা শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।