সামান্য বৃষ্টি হলেই ‘ধ’-ব্লকের মোড় থেকে ‘এফ’ ব্লক পর্যন্ত সাংবাদিক আবাসিক এলাকার প্রধান ফটকের সামনে জমে যায় সুয়ারেজ ড্রেনের নোংরা পানি। ফলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে এলাকাবাসী ও পথচারীদের পড়তে হয় দুর্ভোগে।
সোমবার (৪ মার্চ) বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্তও ‘ধ’-ব্লকের মোড় থেকে ‘এফ’ ব্লকের সাংবাদিক আবাসিক এলাকার প্রধান ফটকের সামনে পর্যন্ত সড়কের দক্ষিণ পাশের ড্রেনের পানি জমে থাকতে দেখা যায়।
রাবেতা ক্যাম্পের বাসিন্দা মিঠুন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এই রাস্তায় প্রতিদিন পানি জমে। তাই নোংরা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। অসুস্থ রোগী নিয়ে যাতায়াত করা যায় না। ময়লা পানি সরাতে কোনো ব্যবস্থা নিতেও দেখি না।
সাংবাদিক আবাসিক এলাকার নাদিম হোসেন নামে এক বাসিন্দা বলেন, ময়লা পানি মাড়িয়ে বাসায় যেতে হচ্ছে। গত চার মাস ধরে এই অবস্থা দেখছি। অফিসে যাওয়া-আসা ও আমার বাচ্চাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার সময় খুব সমস্যায় পড়তে হয়। তখন হেঁটে যাওয়া যায় না। রিকশা করে যেতে হয়। জানি না এভাবে কতোদিন থাকতে হবে আমাদের। এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও বাসা নিতে হবে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক গৃহসংস্থান সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, মিরপুর ১২ নম্বর, পূরবীসহ বেশ কিছু এলাকার পানি এই রোডে এসে জমা হয়। কালশী রোডের দু’পাশ অন্য রাস্তার তুলনায় নিচু। আশ-পাশের এলাকার ড্রেনের পানি যাওয়ার জন্য সংযোগ দেওয়া হয়েছে এই রোডের নিচ দিয়ে। পানি বের হয়ে যাওয়ার কোনো সু-ব্যবস্থা নেই। এর ফলে বৃষ্টি ছাড়াই রাস্তার পাশে সুয়ারেজ লাইনের পানি জমে থাকছে। রোডের ৭ থেকে ৮ ফিট নিচে একটি ড্রেন আছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক আবাসিক এলাকার খালটি দিয়ে পানি যাওয়ার কথা। খালটি ভরাট হয়ে গেছে। বহুদিন খনন করা হয়নি। এর ফলে ড্রেনের নিচের পানি রাস্তায় জমছে। পানি যাওয়ার জায়গা পাচ্ছে না।
যোগাযোগ করলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু বাংলানিউজকে বলেন, কালশী রোডের কাজ হচ্ছে। আমি ৪-৫ দিন ধরে পানি জমতে দেখছি। এর আগেতো ছিল না। কাজে করে সুনাম নেই। সরকার যতোই কাজ করুক কোনো সুনাম নাই। বিহারীদের ক্যাম্প থেকে পানি আসে এই রাস্তায়। কাজ হচ্ছে। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএনসিসি (অঞ্চল-২) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম শফিউল আজম বাংলানিউজকে বলেন, কালশীতে যে ড্রেনটি ওভারফ্লো হতো আমরা বাইপাস করে সাংবাদিক আবাসিক এলাকার খালে দিয়ে দিয়েছি। ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। কিন্তু এখনও সাংবাদিক আবাসিক এলাকার খাল দিয়ে বাইসটেকি খাল হয়ে বাউনিয়া খালে পানি নামে। এই (সাংবাদিক আবাসিক এলাকার) খালের মুখটি ভরে গেছে। এখান থেকে পানি পার হতে পারছে না। আমাদের এক্সেন (নির্বাহী প্রকৌশলী) এনামুল কবির কাজ করছেন। আমাকে বলেছেন দু’সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
এমএমআই/এইচএ/