বুধবার (০৬ মার্চ) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) রুমানা আক্তার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিচয় শনাক্তে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে ৬৭টি মরদেহ থেকে ২৫৬টি (রক্ত, টিস্যু, হাড় ও বাক্কাল সোয়াব) ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি বিচ্ছিন্ন পৃথক হাতকে পৃথক আলামত হিসেবে গণ্য করে সেটি থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর ফলে মোট সংগৃহীত নমুনার পরিমান দাঁড়ায় ২৫৭টি।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থাপিত অস্থায়ী বুথের মাধ্যমে মরদেহের দাবিদারদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়।
সর্বশেষ রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ৩৮ স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অশনাক্তদের পরিচয় নিশ্চিত হতে সিআইডির ফরেনসিক টিম ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে।
চলতি বছরের বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতের চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জন পুড়ে মারা যায়। পরে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৭১ জনে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
পিএম/এএটি