এ উপলক্ষে বুধবার (৬ মার্চ) সকাল ১০টায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- খুলনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বদিউজ্জামান, বিজেএমসির মহাব্যবস্থাপক গাজী সাহাদত হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এক সময় বিশ্বে সোনালী আঁশের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের খ্যাতি ছিল। কিন্তু সচেতনতার অভাবে আজ আমরা সে খ্যাতি হারাতে বসেছি। পাট একাধারে কৃষিপণ্য এবং শিল্পপণ্য। এ পাট থেকে পুষ্টিকর শাক যেমন পাওয়া যায়, তেমনি শিল্পক্ষেত্রে এর বহুমুখী ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০’ অনুসারে ধান, চাল, গম, সার, চিনিসহ মোট ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এ আইন অমান্যকারীদের শাস্তি অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ আইন মানা হচ্ছে না। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও বাজার এখন পলিব্যাগে ছয়লাব। পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এ পলিব্যাগ ব্যবহার বন্ধে স্কুলপর্যায় থেকে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিজেএমসির বিভিন্ন পাটকল, খুলনা জুট গুডস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা মহানগর পাটপণ্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, চাল কল মালিক সমিতি, চাল ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
দিবসটি পালন উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি হাদীস পার্ক থেকে বের হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/