তিনি বলেন, উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরএমপি’র ক্রাইসিস রেসপন্স টিমকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। জঙ্গি দমন, জিম্মি উদ্ধার ও মাদকবিরোধী বড় অভিযানসহ যেকোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে কাজ করবে এ টিম।
তৃতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ শেষে বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে আরএমপি’র ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। ওই সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকালে দলটি মহড়া প্রদর্শন করে। রাজশাহী পুলিশ লাইন মাঠে এ মহড়ায় বাস ও প্রাইভেটকারে পালিয়ে যাওয়া দুর্বৃত্তকে কীভাবে গ্রেফতার করা যায় তা দেখানো হয়।
পরে সিআরটি সদস্যদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন আরএমপি কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। এ সময় তিনি বলেন, সারাবিশ্বে পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। তাই আরএমপি’র চৌকস পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সিআরটি গঠন করা হয়েছে। জঙ্গি দমন, জিম্মি উদ্ধার ও মাদকবিরোধী বড় অভিযানে এ দল কাজ করবে। প্রস্তুত থাকবে সব সময়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, নবগঠিত সিআরটির সদস্যরা প্রথমে জর্ডানে ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থেকে উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি টেরোরিজম অ্যাসিস্ট্যান্ট (এটিএ) তাদের তত্ত্বাবধান করেছে। এটিএ’র তত্ত্বাবধানে সিআরটি সদস্যরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় প্রশিক্ষণ নেন আরএমপিতে। বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়াতে পরবর্তীতে তারাই প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন। এতে প্রত্যাশানুযায়ী সিআরটির সক্ষমতা আরও বাড়বে।
পুলিশ লাইন মাঠে মহড়া ও সনদ বিতরণ এ অনুষ্ঠানে এটিএ’র প্রধান প্রাক বেন কিরিংস্কি ও সহকারী প্রশিক্ষক জন বায়য়াজসহ আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে সিআরটির সদস্য সংখ্যা ২৩ জন। এর নেতৃত্বে আছেন আরএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবদুর রশিদ। দলে আছেন দু’জন সিনিয়র সহকারী কমিশনার, দু’জন পরিদর্শক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক, দুজন নায়েক এবং ১০ জন কনস্টেবল। এ বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে আমেরিকার বিখ্যাত বাহিনী সোয়াটের আদলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/