শনিবার (৯ মার্চ) দিনগত রাতে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের হবিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক তোফায়েল মিয়া জেলার বাহুবল উপজেলার বাঘেরখাল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
র্যাব জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার তিনদিন পর রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে পাঁচজনের নামোল্লেখ করে বাহুবল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আসামি তোফায়েলকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তোফায়েল র্যাবকে জানায়, ঘটনার অনেক আগেই তোফায়েল, মামুন, তাদের আরেক বন্ধু ও এক পাহারাদার ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে মামুন ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। তারপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি ওই স্কুলছাত্রীকে বইমেলায় নিয়ে যাওয়া প্রস্তাব দেয় মামুন। তাতে রাজি হয় ওই ছাত্রী। পরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই স্কুলছাত্রী সিএনজিচালিত অটোরিকশা উঠে মামুন। এর কিছুক্ষণ পর অটোরিকশায় উঠে তোফায়েল ও শিপন। এসময় অটোরিকশাটি অন্য রাস্তায় নিয়ে গেলে, এর কারণ জানতে চাইলে তোফায়েলসহ তার অপর দুই বন্ধু মেয়েটির মুখ চেপে ধরে। পরবর্তীতে বৃন্দাবন চা-বাগান এলাকার পাশের নির্জন পাহাড়ে নিয়ে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মামুনসহ অন্যরা। ধর্ষণ শেষে তারা মেয়েটি বাড়ির কাছাকাছি পাশে একটি রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তোফায়েল আরও জানায়, এ কিশোরী ছাড়া আরও তাদের একাধিক তরুণীকেও প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণের পরিকল্পনা ছিলো।
জানতে চাইলে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার ( এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, ধর্ষক তোফায়েল আত্মগোপনের জন্য গত ২০ দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে। পরে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে তাকে আটক করা হয়। অন্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
ওএইচ/