ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্লেনে এখন ঝাঁকুনি লাগে, ২০২৫ সালে ফ্লাই করা কঠিন হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
‘প্লেনে এখন ঝাঁকুনি লাগে, ২০২৫ সালে ফ্লাই করা কঠিন হবে’ বাংলাদেশ ক্লিন এনার্জি সামিট ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ অন্যরা

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হাজারো সমস্যা হাজির হচ্ছে। যেমন এখন প্লেনে চড়লে ঝাঁকুনি লাগে, ২০২৫ সালে ফ্লাই করা কঠিন হয়ে যাবে। আমরা প্লেনের সিটে বসে থাকতে পারবো না।

রোববার (১০ মার্চ) শেরে বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ ক্লিন এনার্জি সামিট ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একথা বলেন। সামিটের আয়োজন করে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল)।


 
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জলোচ্ছ্বাস বেড়েছে। সাগরের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে খরস্রোত। ফলে গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ জমি নদী-সাগরে হারিয়ে গেছে। জলবায়ুর চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। আইসল্যান্ডের বরফ উষ্ণতার কারণে গলে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের উপকূল ও মালদ্বীপ ঝুঁকিতে রয়েছে।
 
‘প্রতিনিয়ত জলবায়ুতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। উন্নত দেশগুলো বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করছে, বিশেষ করে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ভারত। অন্য দেশগুলো অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করায় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীতে বছরে দুই হাজার হেক্টর জমি বিলিন হয়ে যাচ্ছে। ’
 
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলেও নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে।
 
বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়তই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। দেশে মাত্র ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ ক্লিন এনার্জি। বাকি বিদ্যুৎ তেল, গ্যাস ও কয়লা দিয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে। ফলে পৃথিবী নামক গ্রহ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আমাদের বাঁচতে হলে পৃথিবীকে বাঁচাতে হবে। সবাই এক হয়ে ক্লিন এনার্জির প্রতি ঝুঁকতে হবে।
 
পরিবেশ বিপর্যয় এড়াতে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পৃথিবী গ্রহকে বাঁচাতে সবাইকে এক হতে হবে। সামনে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে, তবে পরিবেশ বাঁচিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো আসুন পরিবেশ বাঁচাই, পৃথিবী নামক গ্রহকে বাঁচাই। সবাই বাঁচত হলে পরিবেশ বাঁচানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।