রোববার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শি রকার্জ মাই-ইও উইমেন সামিট’ ও ‘শি রকার্জ মাই-ইও এসডিজি অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ২০৩০ সালে এজেন্ডা, ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন তখনই টেকসই হবে যখন মেয়েরা এগিয়ে আসবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। তার যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা একই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় নীতিতে নারীদের জন্য শিক্ষা, সুদবিহীন ক্ষুদ্র ঋণ, কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং পারিবারিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অর্জন করছেন। মেয়ে শিশুদের শিক্ষার হার বেড়েছে তুলনামূলকভাবে। এমনকি কর্মক্ষেত্রে নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটিও নিশ্চিত করেছেন। ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য ৩০% শতাংশ নারী সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় প্রশাসনের ৩০ শতাংশ নারী। নারীরা শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। বিধবা ও বৃদ্ধদের জন্য বিশেষায়িত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এক বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি ফারজানা চৌধুরী, এন্টারপ্রেনার'স অর্গানাইজেশন (ইও) এর গ্লোবাল চেয়ার রোজমেরি বুবু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ১০ মার্চ, ২০১৯
এমএমআই/আরআর