ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‘স্বরূপে ফিরেছে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
‘স্বরূপে ফিরেছে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য’ পদ্মাগার্ডেনে রাসিকের মেয়র এএএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: স্বরূপে ফিরেছে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের হারানো সৌন্দর্য। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে আগের রূপ ধারণ করেছে সুন্দর ও পরিপাটি পদ্মাপাড়। মেয়র লিটনের দিক-নির্দেশনায় রাজশাহীবাসীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র পদ্মাপাড় আবারও হয়েছে পরিচ্ছন্ন, ঝকঝকে ও তকতকে।

রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে পদ্মাগার্ডেনসহ পদ্মাপাড় পরিদর্শন করেছেন রাসিকের মেয়র এএএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

পদ্মাগার্ডেনে রাসিকের মেয়র এএএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ অন্যরা।  ছবি: বাংলানিউজপদ্মাপাড়ের গিয়ে দেখা যায়, পদ্মাপাড়ের ম্লান হয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরেছে। পদ্মা গার্ডেনের বিজ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনায় নতুন রং করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নতুন রঙে ঝকঝক করছে পদ্মাগার্ডেন ও আশপাশের এলাকা। নতুন রূপ পেয়েছে রাজশাহীবাসীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র পদ্মাপাড়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে লাখো দর্শনার্থী ও বিনোদনপ্রেমীর উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

জানতে চাইলে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে পদ্মাপাড়ের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পদ্মাগার্ডেনের ব্রিজসহ অন্যান্য স্থাপনায় নতুন রঙ করা হয়েছে। বিভিন্ন সংষ্কার কাজও চলছে। তাই সৌন্দর্যবর্ধনের এই কাজ আরও কিছুদিন চলবে।

তিনি আরও বলেন,  পদ্মানদীর কিনারায় থাকা ফুদকিপাড়া থেকে সীমান্ত অবকাশ পর্যন্ত এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। ২০ দিন ধরে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।

অভিযানে ঝোঁপঝাড়, ময়লা-আবর্জনা সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাই আগের চেয়ে এখন ঝকঝকে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ বিরাজ করছে রাজশাহী অন্যতম পর্যটন ও বিনোদন এই কেন্দ্রটি।

এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে দায়িত্বে থাকাকালে পদ্মাপাড়ের ব্যাপক সৌন্দর্যবর্ধন করেছিলেন মেয়র লিটন। গড়ে তুলেছিলেন বিভিন্ন স্থাপনাসহ সেরা বিনোদনকেন্দ্র। পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্যরে অন্যতম কেন্দ্র পদ্মাগার্ডেন। তবে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত অন্য একজন মেয়রের দায়িত্বে থাকার ফলে পদ্মাপাড়ের সেই সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়।

২০১৮ সালের ০৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন খায়রুজ্জামান লিটন। আর দায়িত্বগ্রহণের পরপরই থেমে এবং বন্ধ হয়ে থাকা সব উন্নয়ন কাজ সচল হতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।