রোববার (১০ মার্চ) আহত লিটুর স্ত্রী সামিনা আক্তার বাদী হয়ে ছয়জনের নামোল্লেখসহ ১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) দিনগত রাতে রাজাপুর সদর ইউনিয়নের হাজিরহাট গ্রামের মৃধাবাড়ি এলাকায় ঘটনা ঘটে।
আহত আসলাম হোসেন লিটু সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও রোলা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। গ্রেফতার মামুন বাগেরহাটের মোরলগঞ্জ উপজেলার সাঙ্কিভাঙ্গা গ্রামের আলী আজগরের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য লিটু শনিবার সন্ধ্যার পর ফারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলে চড়ে স্থানীয় একটি মাহফিলে যোগ দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মৃধাবাড়ি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত পথরোধ করে লিটুর ওপর হামলা চালায় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে।
এসময় মোটরসাইকেলচালক ফারুক লাফ দিয়ে পাশের খালে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে লিটুর অবস্থা আশংকাজনক হলে চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিমে) হাসপাতাল পাঠায়।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে কিছু তথ্যও পাওয়া গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
এমএস/এএটি