এ ঘটনায় যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের তিন ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে হাজারো যানবাহনের ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে বুরুজবাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নিপা ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি ভ্যানে চড়ে স্কুলে যাচ্ছিল। পথে যশোর থেকে নাভারণগামী শার্শা উপজেলা ভূমি অফিসের পিকআপভ্যানটি ওই স্কুলছাত্রীদের বহনকারী ভ্যানে ধাক্কা দিলে দু’জনেই ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। এতে নিপার ডান পা পুরোপুরি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও গুরুতর আহত হয় স্মৃতি।
এসময় স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা পিকআপভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের যৌক্তিক দাবি পূরণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবো, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচারে নিজেও একমতো। এছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় সব ধরনের করণীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেওয়ায় বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে অভিযুক্ত চালককে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
ইউজি/এএটি