বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কলারোয়া উপজেলার পাঁচনল গ্রামের নিহত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী শাপলা খাতুন ও একই গ্রামের মৃত আমিন ঢালীর ছেলে ও শাপলার প্রেমিক কবিরুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার পাঁচনল গ্রামের নুর মোহাম্মদের স্ত্রীর সঙ্গে কবিরুল ইসলাম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে এক পর্যায়ে নুর মোহাম্মদ তার স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়। এতে তার স্ত্রী শাপলা ও প্রেমিক কবিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে নুর মোহাম্মদকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বসরোধ করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত নুর মোহাম্মদের বোন স্কুল শিক্ষিকা ফরিদা খাতুন বাদী কলারোয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেজবাহ উদ্দীন, জিয়াউর রহমান ও মহসীন হোসেন দীর্ঘ তদন্ত শেষে এ মামলার আসামি শাপলা খাতুন ও তার প্রেমিক কবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন।
বুধবার এ মামলায় নিহতের দুই শিশু পুত্র মোস্তাক আহমেদ ও মোস্তাক হাসানসহ ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসামিদের এ দণ্ড দেন।
মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু বাংলানিউজকে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এনটি