মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার সায়দাবাদে ঢাকা ও কিশোরগঞ্জ মালিক সমিতির যৌথ সভার সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট ডাকা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের মহাসচিব ওসমান আলী।
কয়েকজন বাস মালিক বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জ আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডে একটি চক্র চাঁদাবাজি করে আসছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করার পরও তারা চাঁদাবাজি বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চাঁদাবাজি বন্ধ ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাস মালিকরা।
কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য আলমগীর মুরাদ রেজা বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাস ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
এদিকে বাস শ্রমিকরা জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট। বাস মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতেন। সম্প্রতি প্রশাসন ২০ টাকা ভাড়া কমিয়ে দেওয়ায় তারা ধর্মঘট ডেকেছেন। ফলে বুধবার সকাল থেকে কিশোরগঞ্জ আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি সার্ভিস ছাড়া অন্য সব সার্ভিসের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এমনকি ঢাকা থেকেও কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে কোনো বাস ছেড়ে আসছে না। বাস বন্ধ থাকায় যাত্রী সাধারণকে পড়তে হয়েছে দুর্ভোগে। যাত্রীরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে দ্বিগুণ-তিন গুণ ভাড়া দিয়ে গাজীপুর হয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন বলেও জানান তারা।
গাইটাল আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডের এমকে সুপার পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার নান্টু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শুধু কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহগামী এমকে সুপার পরিবহনের বাসগুলো চলাচল করছে। বাকি রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
জিপি