ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আধুনিক পরমাণু বিজ্ঞানের প্রাণপুরুষ ওয়াজেদ মিয়াকে স্মরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
আধুনিক পরমাণু বিজ্ঞানের প্রাণপুরুষ ওয়াজেদ মিয়াকে স্মরণ ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া: বাংলাদেশের আধুনিক পরমাণু বিজ্ঞানের প্রাণপুরুষ’ শীর্ষক সেমিনার

ঢাকা: তার ডাক নাম সুধা মিয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে পড়ার সময় থেকেই ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট হতে শুরু করেন রাজনীতিতে। স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের কারণে তিনি কিছুদিন কারাবরণও করেন। তবে এই সবকিছুর ঊর্ধ্বে তার বড় পরিচয় তিনি বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী। তিনি ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আয়োজনে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া: বাংলাদেশের আধুনিক পরমাণু বিজ্ঞানের প্রাণপুরুষ’ শীর্ষক সেমিনার। এ আয়োজনে তাকে স্মরণ করা হলো গভীর শ্রদ্ধায়।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. সুলতানা শফির সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি।  

প্রবন্ধ পাঠ করেন থিংকট্যাঙ্ক জন্মভূমি রিসার্চ সেন্টারের কর্মাধ্যক্ষ আসিফ কবীর এবং আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সেলিমা খাতুন ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নঈম চৌধুরী।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ।

মূল প্রবন্ধে আসিফ কবীর বলেন, ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন, বিজ্ঞান চর্চা, প্রকাশনা, নীতি-আদর্শ-দর্শনসহ জীবনের নানা দিকে বিস্তীর্ণ। ব্যক্তি হিসেবে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন দেশের একজন বড় মাপের তাত্ত্বিক নিউক্লীয় পদার্থবিদ। নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে দেশ-বিদেশে ছিল তার যথেষ্ট পরিচিত। তবে তিনি পরমাণু বিজ্ঞানী নামেই দেশবাসীর কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন।

আলোচনায় অধ্যাপক ড. নঈম চৌধুরী বলেন, সফল গবেষকের পাশাপাশি ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। জনকল্যাণমূলক ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। শান্তিপূর্ণভাবে পরমাণু রিসার্চ করার জন্য তিনি রিসার্চ সেন্টার নির্মাণ করেন। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তারই অবদান।  

অধ্যাপক সেলিমা খাতুন বলেন, এম এ ওয়াজেদ মিয়া ক্ষমতার খুব কাছে থাকলেও তা ব্যবহার করেননি। তার চারিত্রিক দৃঢ়তা, ব্যক্তিগতা সততা এবং ন্যায়নিষ্ঠার বৈশিষ্ট্য তাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দারিদ্র্য, ক্ষুধা, সামাজিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার মানসে তিনি একাধিক অরাজনৈতিক, সামাজিক ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখতেন আন্তরিকভাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, ড. এম এ ওয়াজদে মিয়ার পরিচয় শুধুএকজন বিজ্ঞানী নয়, তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু বিজ্ঞানের পথপ্রদর্শক। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রতক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশকে সমৃদ্ধশালী করার লক্ষ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে তার স্বপ্ন ছিল।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সুলতানা শফি বলেন, ওয়াজেদ মিয়া অনেক মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং তার মনে রাখার ক্ষমতা ছিল প্রখর। তার সমগ্র কর্মজীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আমরা বাঙালি তথা বাংলাদেশিরা আজ গর্বিত, তার মতো একজন বিজ্ঞানীকে পেয়ে যিনি শুধু দেশ ও মাতৃভূমির কল্যাণে কাজ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।