বইয়ের ক্ষেত্রে প্রকাশকরা লাভ কমিয়ে এবং বিক্রেতাদের কমিশন হ্রাস বা যেকোনো ধরনের অনৈতিক পন্থা বন্ধের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
‘এই প্রক্রিয়ায় বইয়ের দাম বর্তমান অবস্থার চেয়ে ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাবে বাপুস।
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাপুস সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনসহ একাধিক প্রকাশক নেতা বইয়ের দাম কমানোর এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও নির্ধারিত মূল্যেই কমিশন ছাড়া বই বিক্রি, নকল বই রোধে সমিতির কার্যকর ভূমিকা পালনসহ আরও বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়, সিদ্ধান্তগুলো সমিতি নীতিমালা আকারে প্রকাশ করবে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, ভারতের পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমিতির পরিচালক শেখ আবুল বাসার ফিরোজ।
বাপুস সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত, সহ-সভাপতি কায়সার-ই আলম প্রধান, শ্যামল পাল, শরীফ উল আলম, মির্জা আলী আশরাফ কাসেম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষা আইনে সহায়ক পাঠ্যবই নিয়ন্ত্রণ না করে যৌক্তিক বিধি তৈরির দাবি করেন।
সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ আগামী নভেম্বরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজনের ঘোষণা দেন। বইয়ের বিকাশ এবং এ ক্ষেত্রে যে কোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তার পক্ষ থেকে সবরকম সহায়তা থাকবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এমআইএইচ/আরআইএস/