ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নির্ধারিত সময়ে চালু হবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
নির্ধারিত সময়ে চালু হবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিএসএমএমইউ'র সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে মাননীয় মন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান।

সুপার স্পেশালাইজড কার্যক্রমের অগ্রগতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম সুন্দরভাবে এগিয়ে চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করা যায়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ উপ-উপাচার্যগণ ও অন্যান্য শিক্ষক, চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা, গবেষণা ও বিভিন্ন প্রকল্পসমূহের কার্যক্রম সম্পর্কে মাননীয় মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। সে বিষয়েও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময়  জাহিদ মালেককে জানানো হয়, বিএসএমএমইউ'র বর্তমান শয্যা সংখ্যা ১৯০৪টি এবং এরমধ্যে বিনা ভাড়ার শয্যা ৭৫৮টি, কেবিনের সংখ্যা ১২৪টি।  আইসিইউ, এনআইসিইউ ও পিআইসিসিইউ-এর মোট সংখ্যা ৯১টি। ২০১৮ সালে নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে মোট ২০ লাখ ৬০ হাজার ১ শত ৫৯ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। এরমধ্যে বৈকালিক স্পেশালাইজড আউটডোরে  মোট নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮ জন রোগী সেবা নিয়েছেন।

প্রতিদিন নতুন ৫ হাজার ১৫ জন এবং পুরাতন ১ হাজার ৯ শত ৯২ জন রোগীসহ মোট ৭ হাজার ৭ জন রোগী সেবা নিয়েছেন।  ২০১৮ সালে মোট ৩৮ হাজার ৭ শত ৫৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। শুধুমাত্র বহির্বিভাগ থেকেই ভর্তি হয়েছেন ৩০ হাজার ৭ শত ৪ জন রোগী। নিউরোসার্জারি, অর্থোপেডিক্স, কার্ডিওলজিসহ জরুরি বিভাগ থেকে ভর্তি হয়েছেন ৮ হাজার ৫২ জন রোগী। ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৮ শত ১৯ জন এবং মহিলা ১৯ হাজার ৯ শত ৩৭ জন। দৈনিক গড়ে ১৩২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত বছর (২০১৮) বড় ছোট মিলিয়ে ৪৫ হাজার ৬ শত ২৮ জনের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে মেজর অস্ত্রোপচার ১৪ হাজার ৯ শত ৭৮ জন রোগীর এবং মাইনর অস্ত্রোপচার হয়েছে  ৩০ হাজার ৬ শত ৫০ জন রোগীর। দৈনিক গড়ে ১৫৫ জন রোগীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের প্রধান অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের (বিপিএ) ৩ দিনব্যাপী ৫ম আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বিপিএ-এর ২১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের (বিপিএ)-এর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা'র সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএবিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বিপিএ-এর মহাসচিব অধ্যাপক এমএকে আজাদ চৌধুরী, সাউথ এশিয়া প্যাডিয়াট্রিক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন, বিপিএ-এর সাবেক মহাসচিব ডা. মো. শফিকুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এমএএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।