আমার বড় ভাইয়ের ছেলের জন্ম যখন তখন বড় ভাই ছিল ভারতে। সুতরাং পরিবারের স্ত্রী, ছেলে মেয়েরা টের পায় রাজনীতি কি জিনিস।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৯টায় শহরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে শ্রী রাম কৃষ্ণদেবের ১৮৪তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মাসুম বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান মেহেদী সিদ্দীকি প্রমুখ।
শামীম ওসমান আরো বলেন, রাজনীতি করতে করতে আমার বেড়ে উঠা। এখন আমাদের যাওয়ার পালা। কখন মরে যাবো কোনো ঠিক নাই। ১৬ জুন বোমা হামলায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলাম। যে কোনো সময়ে মরে যেতে হবে সেটা ভেবেই রাজনীতি করি। সুতরাং সবাইকে বলবো বিশেষ করে এ প্রজন্মকে বাহাদুরি আর ক্ষমতা দেখাইও না। কারণ মৃত্যু কখন কার সেটা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানে না। তাই আমি সবার কাছে শুধু দোয়া চাই আশীর্বাদ চাই। আমার মৃত্যুর পর যেন সবাই দোয়া আর আশীর্বাদ করে অন্ততটুকু। যাতে দুই হাত একটু সবাই তোলে বলে লোকটা ভালো ছিল। এটাই এখন আমার চাওয়া।
শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতি করতে এখন আর ভালো লাগে না। আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য আছে রাজনীতিতে। কিন্তু এখন খোন্দকার মোশতাকদের মত লোকও আমাদের মধ্যে ঢুকে যায়। তাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন। নতুবা তারা সময় মত ছোবল দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এমএমএস