শুক্রবার (২২ মার্চ) জুমার নামাজের পর নিউজিল্যান্ডের হ্যাগলি পার্কে ড. আব্দুস সামাদসহ দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪০ মুসলমানের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানায শেষে নিহতদের মরদেহ ওই কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত ড. আব্দুস সামাদের ঢাকায় বসবাসরত বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ শুক্রবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ছবি তোলা ও ভিডিও না করার শর্তে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৪টায়) মাত্র দু’ঘণ্টার জন্য আমার বাবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছিলো। পরে গোসলসহ ধর্মী কার্যাদির পর পুনরায় মরদেহ নিজেদের জিম্মায় নেয় নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডে জুমার নামাজের পর হ্যাগলি পার্কে গণজানাযা শেষে দুপুর ২টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়) ক্রাইস্টচার্চে মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে আমার বাবাসহ বাকী মরদেহগুলোর দাফন করা হয়।
নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত তার মা কেশোয়ারা সুলতানা ও ছোট দুই ভাই তারেক ও তানভীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন নিহত ড. আব্দুস সামাদের বড় ছেলে তোহান।
নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুর দেড়টায় ক্রাইস্টচার্চ শহরের হ্যাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউয়ের ‘আল নুর’ মসজিদে ও ‘লিংউড’ মসজিদ দু’টিতে সন্ত্রাসী হামলা চালান ব্রেন্টন টারান্ট। এতে অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিহত হন বাংলাদেশের কৃষিবিদ ড. আব্দুস সামাদ। এ হামলার এক সপ্তাহ পর শুক্রবার নিহতদের মরদেহগুলো দাফন করা হয়।
নিহত মুসল্লিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও নিউজিল্যান্ডের মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করার মাধ্যম হ্যাগলি পার্কে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে দুই মিনিট নিরবতা পালন ও জুমার নামাজের আজান রেডিও ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এফইএস/এএটি