এমনকি শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজও তারা রাস্তায়ই আদায় করেন। নামাজ শেষে নিজেদের পাশাপাশি রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সবার মঙ্গল কামনা করেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমপিওভুক্তির দাবিতে বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ৯টায় প্রেস ক্লাবের সামনে ফুটপাতে অবস্থান নেন দেশের বিভিন্ন এলাকার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন।
কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে তাদের পদযাত্রা সেখানেই থেমে যায়। পরে প্রেস ক্লাব থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত এলাকার রাস্তায় বসে পড়েন শিক্ষকরা।
এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লে বিকল্প হিসেবে শাহবাগ অভিমুখী গাড়িগুলো সচিবালয় রাস্তা দিয়ে চলাচল শুরু করে। পরে প্রশাসন থেকে আন্দোলনকারীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলা হলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বেন না বলে জানান তারা।
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেন না বলে জানান।
এদিকে, রাস্তায় অবস্থানের দ্বিতীয় দিনেও কোনো ফল না আসায় হতাশ শিক্ষকরা। তারা বলেন, আমরা হতাশ হলেও এখনও আশাবাদী। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করে এই দাবির কথা তাকে জানাতে পারবো। তিনি অবশ্যই আমাদের কথা শুনবেন।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনেরর সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করছি। আজ আমরা রাস্তায় বসেই জুমার নামাজ পড়েছি, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা তাদের জন্য, দেশের জন্য ও দেশবাসীর জন্য নামাজ শেষে দোয়া করেছি।
তিনি বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করতে চাইলে আমাদের রাস্তায় আটকে দেওয়া হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই, তাকে আমরা আমাদের কথা জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলে তিনি মেনে নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
ইএআর/টিএ