শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার আনন্দ আবাসিক হোটেলে এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার ইসলামপুর এলাকার রমজান আলীর ছেলে নুর নবী (২৯) ও হাতীবান্ধা উপজেলার বাড়াইপাড়া গ্রামের আফছার আলীর ছেলে নুর ইসলাম নজু (৪২)।
>>>ভারতে পাঠানোর কথা বলে নারীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ১
এরআগে, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ মামলায় বুড়িমারী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলামকে (৩৬) গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে শেরপুরের নকলা উপজেলার এক নারী ১৯ মার্চ পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে আসেন। তাকে বিনা পাসপোর্টে ভারতে পাঠানোর কাগজপত্র তৈরীর কথা বলে বুড়িমারী স্থলবন্দরের যশোদা পরিবহনের কাউন্টারে আটকিয়ে রেখে টানা দুইদিন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন আসামিরা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটগ্রাম থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) অভিযান চালিয়ে যশোদা পরিবহনের কাউন্টার থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন নির্যাতিত ওই নারী বাদি হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই দিনই বুড়িমারী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২২ মার্চ) হাতীবান্ধা উপজেলা সদরের অডিটরিয়াম মোড় এলাকার আনন্দ আবাসিক হোটেলে যৌথ অভিযান চালিয়ে হোটেলের একটি কক্ষে গণধর্ষণ মামলার দুই আসামি নুর নবী ও নুর ইসলাম নজুকে এক নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও একজন পলাতক রয়েছেন।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনছুর আলী বাংলানিউজকে জানান, এ মামলায় দুই দিনে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে আসামিদের সঙ্গে হোটেলে আপত্তিকর অবস্থায় আটক নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এনটি