শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার গলাদা গ্রাম থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে শুক্রবার দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত তাজুল ইসলাম উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের গালদা গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও অভিযুক্ত ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫) একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী, সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরেছেন।
নিহতের ছোট ভাই মাজু মিয়া ও প্রতক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার বাবা ও ছেলে গ্রামের মসজিদ থেকে জুম্মার নামাজ আদায় শেষে বাড়িতে আসেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ঘরের মধ্যে টাকা-পয়সার হিসাব নিয়ে বাবা ছেলের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে আনোয়ার হোসেন লোহার শাবল দিয়ে ঘাড়ে এবং পিঠে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাজুল ইসলাম নিহত হন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহতের মালয়েশিয়া প্রবাসী দুই ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং হুমায়ুন কবির সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন। তবে বিদেশ থাকাকালে তাদের পাঠানো টাকা নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ চলছিলো। শুক্রবার টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলে আনোয়ারের হাতে থাকা লোহার শাবলের আঘাতে বাবা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ঘটনাস্থলে তদন্তে থাকা মনিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খান আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের বড় ভাই নাজমুল ইসলাম পটোয়ারী সম্প্রতি যশোর শহরে জমি ক্রয়ের তোড়জোড় করছিলেন। এতে ভাইপো আনোয়ারের সন্দেহ হয় তাদের পাঠানো টাকা দিয়েই ওই জমি ক্রয় করা হচ্ছে। মূলত এ নিয়ে নিহত তাজুল ইসলামের সঙ্গে আনোয়ারের কথাকাটির এক পর্যায়ে ঘরে থাকা শাবল দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাজুল ইসলাম নিহত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তিনি ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবারের কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
ইউজি/এসএইচ