শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় শরণখোলা উপজেলার কেয়ার বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আহত রোমান একই গ্রামের নজির আহম্মেদ মৃধার ছেলে।
এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৩টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে উপজেলার দক্ষিণ বাধাল গ্রামের বাড়িতে নিজ ঘরে স্বামী রোমান মৃধাকে গলা কেটে হত্যা করার চেষ্টা করে কুমকুম আক্তার। পরে রোমানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে কুমকুম পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রোমানকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রোমানের মা রেনু বেগম জানান, আট মাস আগে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল গ্রামের মৃত শেখ হারুন অর রশিদের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। দু’দিন আগে ওদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এরপর রাতে পাশের রুমে গোঙ্গানির শব্দ শুনে রোমানের ঘরে ঢুকে দেখি কুমকুমের হাতে দা। আমাকে দেখে কুমকুম ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় কেয়ার বাজার থেকে গৃহবধূ কুমকুমকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার কারণে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে স্বীকার করেছে কুমকুম।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত রোমানকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থাকায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানা পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
জিপি