শনিবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কদমতলী বাস টার্মিনাল থেকে তাকে আটক করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুছা বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চালক জুয়েল আহমদকে আটক করে।
এদিকে, বাসচাপায় ওয়াসিমের মৃত্যু হলেও এ ঘটনায় মামলা করবে না তার পরিবার। তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিতে আবেদন করে। পরে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া। রাতেই ওয়াসিমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়, বলেন তিনি। মামলা করতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও স্বজনরা অনুরোধ জানালেও রাজি হননি ওয়াসিমের বাবা।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহামদ বাংলানিউজকে বলেন, চালকের সহযোগী বাস থেকে ফেলে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। এটি নিছক ত্যাকাণ্ড। আমরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। তারা মামলা করতে না চাইলে, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
***সিকৃবির ছাত্রকে বাসচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ
এর আগে শনিবার বিকেলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুরে বাকবিতণ্ডার জেরে ওয়াসিম আব্বাসকে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। নিহত ওয়াসিম হবিগঞ্জের রুদ্রগ্রাম এলাকার মাহবুব ঘুড়ির ছেলে। তিনি সিকৃবি’র মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রীরা জানান, সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী উদার পরিবহনের বাসের চালক ও হেলপারের সঙ্গে সিকৃবি’র কয়েকজন ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। সব শিক্ষার্থী সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে নামতে চাইলেও বাস কয়েকজনকে নামিয়ে দিয়েই দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। এ সময় ওয়াসিম বাসের দরজার হাতল ধরে ঝুলতে থাকলে হেলপার গাড়ির দরজা লাগিয়ে দেন এবং চালক বাস না থামিয়ে চালাতে থাকেন। এতে ওয়াসিম বাসের নিচে চাপা পড়েন। পরে দ্রুত ওয়াসিমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর রাতেই উদার পরিবহনের সেই বাসটিকে (ঢাকা মেট্রো-ভ-১৪-১২৮০) আটক করে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট নগরের প্রবেশদ্বার হুমায়ন রশিদ চত্বরে সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বলিয়ে বিক্ষোভ করছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, পরিবহন শ্রমিকরাও অবস্থান নিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে কদমতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে বাসটির কাউন্টার ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফেরান।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
এনইউ/টিএ