শনিবার (২৩ মার্চ) রাত সোয়া ৮টায় নগরের প্রবেশদ্বার দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরের রাস্তায় এ বিক্ষোভের অবস্থান নেন তারা। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ড শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
***ওয়াসিম হত্যায় সেই বাসচালক আটক, মামলা করবে না পরিবার
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্ররা কোনো ধরনের ভাঙচুর না করে রাস্তায় অবস্থান নেন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। অবশ্য পরে প্রক্টর তাদের শান্ত করে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
এর আগে বাকবিতণ্ডার জেরে ওয়াসিম আব্বাসকে বাসচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে। শনিবার বিকেলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুরে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকায় উদার পরিবহনের একটি বাসের চাপায় তার মৃত্যু হয়। ওয়াসিম হবিগঞ্জের রুদ্রগ্রাম এলাকার মাহবুব ঘুড়ির ছেলে। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রীরা জানান, সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী উদার পরিবহনের বাসটির চালক ও হেলপারের সঙ্গে সিকৃবির কয়েকজন ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। সব শিক্ষার্থী সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে নামতে চাইলে বাস কয়েকজনকে নামিয়ে দিয়েই দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। এ সময় ওয়াসিম বাসের দরজার হাতল ধরে ঝুলতে থাকলে হেলপার গাড়ির দরজা লাগিয়ে দেন এবং চালক বাস না থামিয়ে চালাতে থাকেন। এতে ওয়াসিম বাসের নিচে চাপা পড়েন। পরে দ্রুত ওয়াসিমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
এনইউ/টিএ