রোববার (৪ মার্চ) সকাল থেকে সাভার উপজেলা চত্বরের ভেতরে এ অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন পোশাক কারখানাটির প্রায় শতাধিক শ্রমিক।
শ্রমিকরা জানায়, তাদের ২৭০ জন শ্রমিকের ২০১৮ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর ও চলিত বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন বাকি রেখে হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দেন মালিক অহেদুল ইসলাম।
কারখানাটির অপারেটর রিনা নামের এক শ্রমিক বলেন, আমরা কয়েকবার আমাদের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারিনি। এছাড়া এর আগেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপির মাধ্যমে আমাদের এ সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি তাই নিরুপায় হয়ে আজ আমরা উপজেলা চত্বরের ভেতরে অনশনে বসেছি। কোনো ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাবো না।
কারখানাটির ফিনিশিং ইনচার্জ ছগির হোসেন বলেন, আমাদের বেতন না দিয়ে মালিক শুধু আশ্বাস দিতেন। আমরা কেউ যদি চাকরি ছেড়ে দিতে চাইতাম তাহলে তিনি চাকরি ছাড়তে দিতেন না। আমরা আমাদের কাজ করার টাকাই তো চাইছি। বাড়িওয়ালা আমাদের আর রাখতে চায় না বাসায় খাবারও কিছু নেই। কিভাবে চলবো কি খাবো বুঝতে পারছি না। কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকবো।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, আমারা সবাই মিলে কয়েকবার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু মালিকপক্ষের কারো সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। এ কারখানার শ্রমিকদের বেতনের জন্য আমরা থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইন্ডাস্টিয়াল পুলিশের এসপির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হয়নি। তাই আমরা মালিকের নামে সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা আশা করছি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অচিরেই শ্রমিকদের এ সমস্যা সমাধান করবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসানের সঙ্গে মোবাইলে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারি সাভারের রাজাসন এলাকায় অবস্থিত সিগনেচার স্টিচ এ্যাপারেলস লিমিটেড নামক কারখানার কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের চার মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কারখানাটি বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে শ্রমিকরা বেতন পরিশোধ ও বন্ধ কারখনা খুলে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দাবি জানিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
আরএ