রোববার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘বাংলাদেশে গণহত্যা: ১৯৭১’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিস।
আরও পড়ুন>> গণহত্যার কথা ফোরামে তুলবে জাতিসংঘ
সেমিনারে জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তা বাস্তবায়নে মিয়ানমার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মিয়ানমারে যথাযথ পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে নিরাপদে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হবে। এজন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অ্যাডামা ডিয়েং বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় গণহত্যা হয়েছে। আর্মেনিয়া, বাংলাদেশ, রুয়ান্ডার গণহত্যা উল্লেখযোগ্য। তবে গণহত্যা এক রাতেই ঘটে না। এর জন্য দীর্ঘ পরিকল্পনা থাকে। এর পেছনে অনেক সময়ও নেওয়া হয়। সে কারণে গণহত্যার মূল কারণ খুঁজে বের করে শুরুতেই এর প্রতিরোধ করা জরুরি।
এক প্রশ্নের উত্তরে জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিষয়টি বাংলাদেশ জাতিসংঘের ফোরামে তুলে ধরতে পারে। গণহত্যার স্বীকৃতির বিষয়টি আমার এখতিয়ারের মধ্যে নয়। গণহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যেই আমি কাজ করছি।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে নৃশংস গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলো তাদেরকে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করেছে। গণহত্যায় জড়িত দু’জন মতিউর রহমান নিজামী-আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে বিএনপি মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছে। তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। এখনো গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য মফিদুল হক বলেন, বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের গণহত্যা বিশ্বজুড়ে আলোচিত। এই গণহত্যায় ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। গণহত্যার বিচারও বাংলাদেশ শুরু করেছে। এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশ কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
টিআর/জেডএস