রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কালিরবাজারে নবনির্মিত ফুলছড়ি থানা ভবন উদ্বোধন ও মাদকবিরোধী সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশকে নিয়ে ২০২১, ২০৪১ শীর্ষক যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে মাদক নির্মূল করতে হবে।
চ্যালেঞ্জ। আমরা জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছি। আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে এবং তাদের মেধাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আমাদের যে কোনো মূল্যে মাদক নির্মূল করতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো
টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তাই মাদক ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসা করতে হবে। মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের সুস্থ পথে ফিরে আসতে বিভিন্ন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বেচ্ছায় মাদক ব্যবসা ছেড়ে ফিরে এলে তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। দেশকে মাদকমুক্ত করতে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
মাদকের ভয়াবহতা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একজন ইয়াবাসেবী টানা তিন বছর ইয়াবা সেবনের পর সে অন্যকে দূরের কথা নিজেকেই চিনতে পারবে না। তার মেধা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।
মাদকবিরোধী সুধি সমাবেশে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকার ৭৪ জন তালিকাভুক্ত মাদকবিক্রেতা-মাদকসেবী নারী-পুরষ আত্মসমর্পণ করেন। অন্ধকার পথ ছেড়ে আলোর পথে আসায় আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে ফুল দিয়ে
বরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল
মতিন, জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
এছাড়া সমাবেশে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরের
কর্মকর্তা, নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সুধি সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাইবান্ধা পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। সন্ধ্যায় সৈয়দপুর থেকে উড়োজাহাজে করে ঢাকায় ফিরবেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
আরএ