সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ৯টায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কয়েক হাজার সমর্থক গোপালগঞ্জ-পাটগাতী সড়কের টুঙ্গীপাড়ায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময় প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ঘোষিত ফলাফল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা।
দুপুর ১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্য়ন্ত ওই সড়ক অবরোধ চলছিলো।
পরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. বাবুল শেখের গওহরডাঙ্গা অফিসে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত প্রার্থী মো. বাবুল শেখ বলেন, ‘২৪ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার দোয়াত-কলম প্রতীক বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সোলায়মান বিশ্বাস নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ করে’ আমার দোয়াত-কলম মার্কার রায়কে ছিনিয়ে নিয়েছে। মাত্র ২৮ ভোটে তারা আমাকে পরাজিত করেছে। ’
‘এছাড়া নির্বাচনের দিন দুপুরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সোলায়মান বিশ্বাস গিমাডাঙ্গা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টকে মারধর দিয়ে বের করে দিয়েছে। পরে তারা ভোট কেটে নেয়। এ কেন্দ্রে শতকরা ৮৬ ভাগ ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে। ’
তিনি অভিযোগে আরো বলেন, ‘ভোট গণনার সময় সুকৌশলে আমার ভোট কম দেখিয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সোলায়মান বিশ্বাসকে ২৮ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ’
পরে তিনি আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভোট পুনঃগণনা করে ফলাফল ঘোষণা না করলে আন্দোলন সংগ্রাম, হরতাল ও অবরোধ চালিয়ে যাওয়া হবে। ’
এ সময় তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাহাঙ্গীর হোসেন, টুঙ্গীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শুকুর আহম্মেদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ডুমুরিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাউসুর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রোববার কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সোলায়মান বিশ্বাস ২৭ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. বাবুল শেখ পান ২৭ হাজার ৩২ ভোট। পরে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে সোলায়মান বিশ্বাসকে ২৮ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮, মার্চ ২৫, ২০১৯
আরএ