সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বিশ্বের কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা সংকটের যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসেছেন এক বছরে রোহিঙ্গাদের কি পরিমাণ সাহায্য-সহায়তা প্রয়োজন সে সর্ম্পকে ধারণা নিতে। ধারণা পাওয়ার পর বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে তারা।
খালেদ খলিফা বলেন, তহবিলের অর্থের যথাযথ ব্যবহার করার বিষয়ে জবাবদিহিতা থাকা দরকার, এটি সত্য। জবাবদিহিতা না থাকলে কোনো কাজই স্বচ্ছতার সঙ্গে করা যায় না।
তহবিলের কোনো অপচয় হচ্ছে না। আমরা কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা এবং রোহিঙ্গাদের চাহিদা গুরুত্ব দিয়েই তহবিলের ব্যবহার করছি।
রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য চলতি বছর ৯২০ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এই অর্থের মধ্যে ১৪ শতাংশ সংগ্রহ করা গেছে। বাকি অর্থ দেওয়ার জন্য সহায়তায় গঠিত সংস্থার তালিকাভুক্ত দেশগুলোকে জানানো হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
সম্প্রতি অভিযোগ করা হয়েছে যে, এনজিওরা রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে আনা ত্রাণ সাহায্যের প্রায় ৭৫ ভাগই নিজেদের স্বার্থে খরচ করেছে। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ছয় মাসে হোটেলের বিল বাবদ ব্যয় করা হয়েছে। একইসঙ্গে পারডিয়েম, বাসস্থান এবং যাতায়াত খাতে বিশাল ব্যয় করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
এসই/আরআর