সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বাস চালক জুয়েল আহমদ, হেলপার (সহযোগী) মাসুক মিয়া ও সুপারভাইজার সেবুল মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।
সিকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড বাংলানিউজকে জানান, আমাদের ছাত্র ওয়াসিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড। ওয়াসিমের পরিবার শোকে মুহ্যমান, তাই তারা হয়তো কোনো মামলা করতে যাচ্ছে না। কিন্তু ওয়াসিম হত্যার বিচার দাবিতে আমরা হত্যা মামলা করেছি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহম্মদ বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার দিনই আসামিদের দুইজন আটক করা হয়। এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওয়াসিম ১০ জন সহপাঠীসহ হবিগঞ্জের দেবপাড়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। বিকেলে ফেরার পথে নবীগজ্ঞ থানাধীন বালিধারা (রুস্তমপুর) এলাকার নাইমা ফিলিং স্টেশনের সামন থেকে তারা ময়মনসিংহ-সিলেট রোডের উদার পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। সেময় ভাড়া নিয়ে বাসের হেলপারের সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। পরে শেরপুর এলাকায় এসে একপর্যায়ে বাসের হেলপার ওয়াসিম ও তার বন্ধু রাকিবকে ধাক্কা দেন। এতে ওয়াসিম বাস থেকে পড়ে যান এবং চাকা তার ওপর দিয়ে চলে যায়। ওয়াসিমকে দ্রুত প্রাইভেটকারে করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার তিনি মারা যান।
এরপর ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার অভিযুক্ত উদার পরিবহনের বাসচালক জুয়েল আহমদ ও রাত ২টার দিকে হেলপার মাসুককে পৃথক স্থান থেকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওয়াসিমকে ধাক্কা দিয়ে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
এনটি