সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে এ ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হয়।
ব্লাকআউটের প্রধান স্থান ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
এদিকে ঘড়ির কাঁটায় রাত ৯টা বাজতেই নিভে যায় জগন্নাথ হলের সব লাইট। মাইকে ভেসে আসে গোলাগুলির শব্দ, আর বিপদগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ। সেই আবহে কিছুক্ষণের জন্য যেন ফুটে উঠেছিল ১৯৭১ সালের ভয়াবহ সেই রাতের চিত্র। এছাড়া রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, পুরানা পল্টন এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রতীকী ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হয়।
ব্ল্যাকআউট সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফায়েদ মাহমুদ স্বার্থক বলেন, এর আগে কখনো আমি ব্ল্যাকআউটের স্বাক্ষী হইনি। এবারই প্রথম। অপারেশন সার্চলাইট নামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সেই বর্বরোচিত হামলায় সমগ্র বাঙালি জাতির পাশাপাশি পুরো বিশ্ববাসী হতবাক হয়েছিলো। মধ্যযুগীয় কায়দায় পাকবাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স, পিলখানা, ইপিআর সদর দফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো ঢাকা মহানগরীতে চালায় হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ। এই অন্ধকারে তারই যেন ভাব ফুটে উঠলো।
ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। জরুরি স্থাপনা ও চলমান যানবাহন ছাড়া সারাদেশে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করে তারা। এসময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্ল্যাকআউট নিয়ে তৎপর ছিলেন।
এর আগে গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি জানান, এই ব্ল্যাকআউটের সময় যানবাহন ও কেপিআইগুলো (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) এর আওতার বাইরে থাকবে। কর্মসূচি পালনের সময় সারাদেশে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় সংসদের স্বীকৃতির পর একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের দিনটিকে ২০১৭ সালে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
এইচএমএস/জেডএস